বলেশ্বরতীরে ইবাদতে মগ্ন হাজারো মুসল্লি
এ বছর দেশের ৩২টি জেলা টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে না পারায় ওই জেলাগুলোতে আলাদা ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর তীরে আজ বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী ইজতেমা। সকাল থেকেই পিরোজপুর ও এর আশপাশের জেলা থেকে ইজতেমাস্থলে মানুষের ঢল নামে।
ইজতেমা উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। ইজতেমার চারপাশ ঢেকে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। এ জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৪০০ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া ইজতেমা প্রাঙ্গণের মধ্যেও রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা।
নজরদারির জন্য স্থাপন করা হয়েছে ১০০টির মতো সিসিটিভি ক্যামেরা এবং চারটি ওয়াচ টাওয়ার। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী রাস্তাগুলোতেও নিয়মিত পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরাও রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার কাজী শাহনেওয়াজ জানান, ইজতেমা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া অসুস্থ রোগীদের দ্রুত সেবা দেওয়ার জন্য মেডিকেল টিমের পাশাপাশি রয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অ্যাম্বুলেন্স। বিশুদ্ধ পানিরও যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে ইজতেমা প্রাঙ্গণে। আশা করা হচ্ছে, ইজতেমায় দুই লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে।
পুরো ইজতেমাকে নয়টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলা ছাড়াও দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন। আগামী শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।