‘ওলিয়ার হত্যায় এমপির ঘনিষ্ঠরা জড়িত’
অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর মোল্যা ওলিয়ার রহমান হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় সংসদ সদস্য (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) রণজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠজনরা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আর এ কারণেই পুলিশ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের খুনিদের গ্রেপ্তার করছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।
আজ বুধবার দুপুরে পৌর কাউন্সিলর মোল্যা ওলিয়ার রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এ অভিযোগ করেন।
তবে এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য সংসদ সদস্য রণজিৎ রায়ের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, 'যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ রায়ের কথিত পিএ সুকুমার, এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত রবিন অধিকারী ব্যাচা ও সুশান্তকুমার দাস এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি যুক্ত। মামলাটির দুজন আসামি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকারও করেছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধির ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। উপরন্তু সন্দেহভাজন খুনিরা সংসদ সদস্যের সাথে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করে বেড়াচ্ছে। তারা নিহত আওয়ামী লীগ নেতা মোল্যা ওলিয়ারের পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি-ধমকিও দিচ্ছে।'
স্মারকলিপিতে ওলিয়ার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী, অর্থ জোগানদাতা এবং খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। তা না হলে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল, নওয়াপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সরদার, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
গত বছর ২৩ নভেম্বর অভয়নগরে নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে মোল্যা ওলিয়ার রহমানকে। মুক্তিযোদ্ধা ওলিয়ার ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, নওয়াপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর, অভয়নগর উপজেলা শ্রমজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি।