সাংবাদিক শিমুল হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার
দৈনিক সমকালের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল হত্যায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের এক মাস পর আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মীরুর বাড়ির পাশে পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেয়র মীরু ও তাঁর ভাই হাসিবুল হক মিন্টুকে। জিজ্ঞাসাবাদে শিমুল হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রের কথা স্বীকার করেন মিন্টু। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মেয়রের বাড়ির পাশে পুকুর থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলায় পৌর মেয়র মীরু ও তাঁর ভাই মিন্টুকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে বিচারক নজরুল ইসলাম তাঁদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ সোমবার তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অস্ত্রের কথা স্বীকার করেন মিন্টু। সেই তথ্যের আলোকে মঙ্গলবার সকালে তাঁদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মেয়র মীরুর বাড়িতে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিজয়ের স্বজনরা মেয়রের বাসার সামনে মিছিল নিয়ে গিয়ে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় মেয়র মীরু ও তাঁর ভাই মিন্টু শটগান দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে শটগানের গুলিতে কর্তব্যরত সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন।
পরে প্রথমে শিমুলকে বগুড়া ও পরের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এর আগে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে পৌর মেয়র মীরুকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র মীরু, তাঁর ভাই পাবনা জেলা জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টুসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।