চান্দিনায় আটক ‘জঙ্গি’কে নিয়ে মিরসরাইয়ে অভিযান, বোমা-সরঞ্জাম উদ্ধার
কুমিল্লার চান্দিনা থেকে আটক এক ‘জঙ্গি’কে নিয়ে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় একটি বাড়ি থেকে বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানান। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পাঁচটিসহ মোট ছয়টি বোমা উদ্ধার করা হলো।
এসপি আরো জানান, মীরসরাইয়ের ওই বাড়ি থেকে বিপুল বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। বোমাগুলো খুবই ধ্বংসাত্মক। এগুলো কোনো ভবনের মধ্যে বিস্ফোরিত হলে পুরো ভবনটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা বোমাগুলোর মধ্যে এগুলো অন্যতম শক্তিশালী ছিল।
পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিরসরাই উপজেলার পূর্ব গবনিয়া এলাকার ওই বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সন্দেহভাজন সদস্য হাসান।
পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল মমিনের নেতৃত্বে একটি দল মিরসরাইয়ে অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযানে বোমা ছাড়াও জঙ্গিদের ব্যবহৃত আরবি ভাষায় লেখা ব্যানার, কালো পোশাক ও বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়।
আটক দুই ‘জেএমবি সদস্য’ সম্পর্কে এসপি আবিদ হোসেন জানান, দুজনই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং সব ধরনের অস্ত্র চালনায় দক্ষ। বোমাগুলো তারা নিজেরাই বানিয়েছে। তবে তারা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লায় চান্দিনায় পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করছিল। এ সময় বাস থেকে নেমে দুই যাত্রী তাদের লক্ষ্য করে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। এটি বিস্ফোরিত না হলে দুজন আরো চারটি বোমা ফেলে দৌড়ে পালাতে থাকে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন অপরজনকে ধরে পিটুনি দেয়। তারা নিজেদের হাসান ও জসিম নামে পরিচয় দেয়।