বাঞ্ছারামপুর পৌর নির্বাচনে সংঘর্ষে আহত ১০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা সদরের এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংশু কুমার দেব এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা সদরের এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে মেয়র প্রার্থী খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা এবং তোফাজ্জল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামি, ক্যামেরাপারসন প্রকাশ লাল দাসসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
ওসি আরো জানান, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়র প্রার্থী খলিলুর রহমান টিপু মোল্লার সমর্থক আওলাদ মোল্লাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অলিমউল্লাহ নামের অপর এক ব্যক্তি ও এক নারীকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, বর্তমান সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসন এবং বিগত উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও কেন্দ্র দখলের মাধ্যমে ফল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন।
খোকন অভিযোগ করেন, বিএনপির সমর্থকরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি, তার পরও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতি করছে।
বিএনপির সমর্থকরা নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের ১০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রথমবারের মতো পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আনন্দের কোনো কমতি ছিল না। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভোটাররা।