হলি আর্টিজানের মামলায় ‘নব্য জেএমবি’র মিজান রিমান্ডে
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মামলায় নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার ‘প্রধান’ মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এ আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির হলি আর্টিজানের মামলায় মিজানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফরিদ মিয়া এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা বলেন।
আবেদনে বলা হয়, হলি আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র এই মিজানুর রহমান সরবরাহ করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। ওই অস্ত্রের উৎস সন্ধান ও ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
এর আগে মিজানকে দারুস সালাম থানার অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলাটি ২০১৬ সালের ২ নভেম্বরে করা হয়। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) দাবি করে, বড় মিজানকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বনানীর কাকলী লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বড় মিজান নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান বলে পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশের ভাষ্য, বড় মিজান নব্য জেএমবির চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী শিবগঞ্জ এলাকার প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি। এর আগে তিনি জুন্দ আল তাওহিদ নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি গুলশান হামলার অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরীর মাধ্যমে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন।
পুলিশের দাবি, বড় মিজানের নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তকেন্দ্রিক অস্ত্র ও গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, বিস্ফোরক ও জেল চোরাচালানের একটি চক্র বা সিন্ডিকেট তৈরি হয়, যারা নব্য জেএমবির প্রায় সব অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে আসছিল।