লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০
লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা রেল স্টেশনে পার্বতীপুরগামী একটি লোকাল ট্রেনের সঙ্গে বুড়িমারীগামী একটি কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষ ঘটে।
urgentPhoto
সংঘর্ষের পর উত্তেজিত যাত্রীরা রেল স্টেশনে ভাঙচুর করে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই রেলকর্মীকে বরখাস্ত করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্টেশন এলাকার দোকানদার লিয়াকত আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী যাত্রীবাহী ২৪০৪ নম্বর লোকাল ট্রেনটি স্টেশনের এক নম্বর লাইনে ক্রসিংয়ের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী ২৩১৩ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি দুই নম্বর লাইনের পরিবর্তে এক নম্বর লাইনে ঢুকে পড়ে। ফলে ট্রেন দুটির বগির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় হুড়াহুড়ি করে নামতে গিয়ে ট্রেন দুটির প্রায় ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩-৪ জনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, এই দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা রেল স্টেশনে ভাঙচুর করে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,স্টেশনের দায়িত্বরত পয়েন্টসম্যান নাজির হোসেনের বদলে কফিল উদ্দিন নামের এক সাবেক রেলকর্মী ঘটনার সময় দায়িত্ব পালন করছিলেন। নাজির হোসেন ওই ব্যক্তিকে দিয়ে বদলি হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার নাজমুল হোসেন জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে বুকিং ক্লার্ক আবু তাহের ও পয়েন্টসম্যান নাজির হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।