চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন আবাসিক বাসভবন থেকে এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ শনিবার ভোররাতে পুলিশ লাইন চত্বরের বাসা থেকে কনস্টেবল হেলাল পারভেজের স্ত্রী শান্তা বেগমের (২০) গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শান্তা বেগমের বাবা জিবলু গাজী জানান, প্রায় পাঁচবছর আগে তার মেয়ের সঙ্গে শ্রীপুর উপজেলার ছাবিনগর গ্রামের নোয়াবুল ইসলামের ছেলে হেলাল পারভেজের বিয়ে হয়। তাঁদের সাত মাস বয়সী একটি মেয়ে আছে। হেলাল কয়েক মাস আগে ‘পরকীয়া’য় জড়িয়ে যায়। এতে শান্তা-হেলালের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা দেয় বলে অভিযোগ জিবলু গাজীর।
বিষয়টি নিয়ে এক মাস আগে পারিবারিকভাবে সালিশ বৈঠক হয় বলেও জানান শান্তার বাবা।
এ সময় উপস্থিত নিহত শান্তা বেগমের আত্মীয়-স্বজনরা শান্তার মৃত্যুর পেছনে স্বামী হেলালের পরকীয়াকেই দায়ী বলে অভিযোগ করেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীর জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান বেনজীর ।