‘সামনে ঈদ, পাঁচ মাস ধরে মজুরি নাই’
গ্রামের অতিদরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের ‘পল্লী কর্মসংস্থান ও রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প’ (আরইআরএমপি-২)-এর কাজ চলছে দেশব্যাপী। সংসারের চাহিদা মেটানোর জন্য এটি বড় জোগান। কিন্তু নারীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা পাঁচ মাস ধরে মজুরি পাচ্ছেন না। সামনে ঈদ, দ্রুত বকেয়া মজুরি চান তাঁরা।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের আরইআরএমপির দলনেত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘গত বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মজুরি পাইছি। জানুয়ারি থেইকা জুন পর্যন্ত পাই নাই। আমরা গরিব মানুষ, কী খাইয়া বাছন, সামনে একটা ঈদ আইয়া লাইছে, আইজ পাঁচ মাস ধইরা বেতন নাই।’
একই অভিযোগ জানান এ প্রকল্পে কাজ করা হোসনে আরা, সুখিয়া বেগম ও ঝর্ণা বেগম।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা কমিউনিটি অর্গানাইজার (সিও) কাজী ফজলুল হক এ বিষয়ে বলেন, ‘আসলে প্রতি মাসেই বেতন হওয়ার নিয়ম। কিন্তু ঢাকা থেকে দেরিতে বরাদ্দ আসে কুমিল্লায়, তার পর চান্দিনায় আসতে আরো দেরি হয়। এ জন্য নিয়মিত বেতন দিতে পারি না।’
কুমিল্লার আরইআরএমটির স্থানীয় কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ) নজির আহাম্মদ বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি তিন মাস পর পর বরাদ্দ আসে। অনেক সময় বরাদ্দ পাঠাতে দু-এক মাস দেরি হয়ে যায়। তবে শিগগিরই তারা মজুরি পেয়ে যাবে।