‘পুলিশের ওপর ককটেল হামলাকারী’ যা বললেন
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ট্রাকে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মামুননগর এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন সোহাগ, শরিফ আহমেদ ও জিন্নাত।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী দাবি করেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে গৌরীপুরের ভবানীপুরে বালুবোঝাই ট্রাকে পেট্রলবোমা ছুড়লে চালক আজিজুল ও তাঁর সহকারী মানিক আহত হন। ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মামুননগরে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে সোহাগ নামের একজন আহত হন। পুলিশ আহত সোহাগসহ আরো দুজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান। ককটেল হামলায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ জামালী ও কনস্টেবল বাচ্চু মিয়া আহত হন বলে তিনি দাবি করেন।
আজ বুধবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, একটি বিছানার সঙ্গে হাত কড়া লাগানো অবস্থায় বসে আছেন সোহাগ। তাঁর পায়ে ছররা গুলির চিহ্ন। পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর মুদি, মোবাইল ও কীটনাশকের দোকান রয়েছে।
সোহাগ বলেন, ‘(পুলিশ) আমারে বাসা থিকা রাতরে একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত, তখন আমারে ডাক দিয়ে বলতাছে ওঠেন, ওঠেন। উঠলাম। ওঠার পর ওরা আমারে বলতাছে, কাপড়চোপড় পরেন। তারপর আমারে নিয়া গেল থানায়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর দশ মিনিট রাখছে লকাপে। রাখার পর আবার বের হইছি। বের হইয়া একটু ঘোরাঘুরি কইরা তারপর আবার নিয়ে আসছে মামুননগর মোড়ে। মামুননগরে আইন্যা সাইড়া আমার চোখগুলো বানছে। ১০ মিনিট পরে ওরা তিনটা গুলি করছে।’
সোহাগের বক্তব্য অস্বীকার করে গৌরীপুর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, তাঁর বক্তব্য সঠিক নয়।