এম কে আনোয়ারসহ ৩১ জনের অব্যাহতির শুনানি ৪ আগস্ট
হরতাল-অবরোধে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে এক পুলিশ হত্যার ঘটনার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৩১ জনের অব্যাহতির শুনানি আগামী ৪ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হক এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
আজ আদালতে এ মামলায় এম কে আনোয়ারসহ ৩১ জনের অব্যাহতির শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক শুনানির তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
চলতি বছরের ১৯ মে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এম কে আনোয়ারসহ ৩১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ ও সাতজনকে অভিযুক্ত করে এ অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।
অব্যাহতির সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন এম কে আনোয়ার, রুহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, আবদুল আওয়াল মিন্টু, আজিজুল বারী হেলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বরকত উল্লাহ বুলু, মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, মীর সরাফত আলী সফু, কফিল উদ্দিন, সাজু, আবদুল কাইয়ুম, সাবেক কমিশনার আনোয়ার, মনির, হেলাল, সাবেক কমিশনার মজিদ, সিরাজুল, বাবলু, আবুল বাশার, কালা খোকন, মোহন, বিএনপির নেতা নবী উল্লাহ নবী, শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, এছাহাক আলী সরকার, জয়নাল আবেদীন বাবুল, আবদুল মতিন খান, মহিন হোসেন, হানিফ হোসেন ও সাত্তার।
এ ছাড়া ছাত্রদলের খিলগাঁও থানা সেক্রেটারি নুরুজ্জামান ওরফে জনি মারা যাওয়ায় তাঁকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাবিব উন নবী খান সোহেল, আনোয়ার হোসেন টিপু, মোহাম্মদ হোসেন, আবদুল সাত্তার, রফিক আকন্দ, আলফাজ ও শাহ আলম।
মামলার নথি হতে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে বিএনপি জামায়াতের ১৫-২০ দলের একটি দল মৎস্য ভবনের দিকে আসার সময় রমনা চায়নিজের সামনে একটি পুলিশবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলা চালায়।
এ ঘটনায় শামীম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল মারা যান। আহত হন আরো ১৩ জন।
পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোহাম্মদ হোসেন, সাত্তার রফিক ও আলফাজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আসামিদের জবানবন্দিতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত মৃত নুরুজ্জামানের নামও আসে। কিন্তু তিনি ঘটনার তিন দিন পর গত ২০ জানুয়ারি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
এম কে আনোয়ারদের অব্যাহতির সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘মামলার এজাহারে নাম থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শফিউল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।