মঠবাড়িয়ায় ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসতেন ‘চিকিৎসক’ আবুল খায়ের চৌধুরী। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) একটি দল ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে আবুল খায়েরের পেশাগত সনদ দেখতে চান। আবুল খায়ের চিকিৎসকের কোনো সনদ দেখাতে পারেননি।
কয়েক বছর ধরে চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসা করছেন আবুল খায়ের। ওই অপরাধে তাঁকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরো একমাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে আবুল খায়েরকে।
আজ বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব দাশ এ রায় দেন। আবুল খায়ের মঠবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ বন্দরের মাতুব্বর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসতেন। আবুল খায়েরকে দিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
আবুল খায়ের চৌধুরী মাগুরা জেলার শ্রীকোল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মঠবাড়িয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়ক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
বরিশাল র্যাব ৮-এর ডিএডি আমজাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দরের মাতুব্বর ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে ভুয়া চিকিৎসক আবুল খায়ের চৌধুরীকে আটক করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর কোনো চিকিৎসা সনদ দেখাতে পারেননি। ডাক্তারি সনদ না থাকায় আবুল খায়েরকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মাতুব্বর ডায়গনস্টি সেন্টারকে ভুয়া ডাক্তার রাখার অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আমজাদ হোসেন আরো জানান, এ ছাড়া পৌর শহরের কে এম লতিফ সুপার মার্কেটে আলমগীর নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিলেও কোনো সনদ দেখাতে পারেননি তিনি।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ওষুধের দোকানের মালিক রিয়াজুল হককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।