মেহেরপুরে বাকী চেয়ারম্যান হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল বাকী হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ টি এম মুসা এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম রওশন আলী।
আদালত একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। পাশাপাশি অপর এক ধারায় একই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। আসামির বাড়ি গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে।
রায়ে বাকি পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন মজিবর, জব্বার, বুদু, সালাম ও আজগর।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাজীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল বাকী মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে গাংনীর উদ্দেশে রওনা হন। পথে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের তেরাইল এলাকায় আসামি রওশন আলী ও নুরু মণ্ডল একটি মোটরসাইকেলযোগে এসে বাকীকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যান। ওই দিন বাকীর ভাই সাজ্জাদুল আলম স্বপন বাদী হয়ে গাংনী থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য জিন্নাহ ও সামাদ, রওশন আলী ও নুরু মণ্ডলসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আসামি নুরু মারা গেলে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে ২০০৩ সালের ২০ মে পুনরায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে বর্তমান চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনসহ ১৪ জন আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে ২০০৪ সালের ৮ মার্চ তৃতীয় দফায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলায় ১৩ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কাজী শহিদুল হক এবং আসামিপক্ষে মারুফ আহমেদ বিজন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।