টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানে কয়েকশ বাড়ি প্লাবিত
টানা বর্ষণ ও সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বান্দরবানে নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। জেলা শহরসহ নদীর আশপাশ এলাকার লোকজন নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
পৌর কাউন্সিলর শামসুল হক সামু জানান, গত সোমবার থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত বান্দরবানে টানা বর্ষণ হচ্ছে। এতে আর্মিপাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, শেরেবাংলা নগরসহ আশপাশের এলাকার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। প্লাবিত এলাকার মানুষ স্কুলসহ বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ বাদশা ও সালেহা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান নালা দখল হয়ে যাওয়ায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতেই মেম্বারপাড়াসহ আশপাশের শত শত ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে। ছড়া ও নালাগুলো দখলমুক্ত করতে না পারলে এ সমস্যার সমাধান হবে না বলে অভিমত তাঁদের।
এ ছাড়া টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি, মারমাপাড়াসহ আশপাশের এলাকাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে ভারি বৃষ্টিপাত কমে গিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় প্লাবিত এলাকার পানি অল্প অল্প করে কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
এদিকে, অব্যাহত বর্ষণে বান্দরবানে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র স্রোতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাঙ্গু নদীর তীরের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীতীরবর্তী লোকজন নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন।
তবে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বা এ সময় তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতে সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। খোলা হয়নি কোনো আশ্রয়কেন্দ্র। তবে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা জানান, দ্রুত পানি নিষ্কাশনের নালা ও ছড়াগুলো দখলমুক্ত করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশপাশের প্রাইমারি স্কুলগুলোতে অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে।