বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝালকাঠির ৩০ গ্রাম প্লাবিত
বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়াইয়া ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বসতঘর ও ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া চারদিনের টানা ও ভারি বর্ষণে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া তলিয়ে গেছে আরো চার উপজেলার বসতঘর, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের। আর এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার চার উপজেলার নদীতীরবর্তী ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ঝালকাঠি শহরের নতুন কলাবাগান, পৌরসভা খেয়াঘাট, কলেজ খেয়াঘাট, উত্তর কিস্তাকাঠি ও কৃষ্ণকাঠি এলাকা।
এ ছাড়া তলিয়ে গেছে নলছিটি শহরের মল্লিকপুর, সারদল, খোজাখালী, দপদপিয়া ও হদুয়া দরবার শরিফ এলাকা।
এদিকে রাজাপুরের বিষখালী নদীতীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় আজ সকাল থেকে উপজেলার বড়াইয়া ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে নলছিটির ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় দুদিন ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নদী-খাল-বিল, পুকুর ও ডোবা-নালায় পানি উঠে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, ভেসে গেছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছ।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পানি জমে থাকায় পানের বরজ, কলাবাগান ও পেঁপে বাগানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া বেশিদিন পানি আটকে থাকলে সদ্য রোপিত আমন ও বোরোর বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।