রাজৈরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ
মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ওই ছাত্রীকে প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে আজ বুধবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলে, ওই স্কুলছাত্রী গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নানির বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় আট যুবক তাকে ধর্ষণ করে। স্থানীয় এক নারী আজ বুধবার ভোরে ওই ছাত্রীকে একটি ঝোপে পড়ে থাকতে দেখেন এবং উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে ছাত্রীর মা-বাবা এসে তাকে প্রথমে রাজৈর ও পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ছাত্রীর মা ও বাবা জানান, তাঁদের মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের আলামত রয়েছে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী এনটিভি অনলাইনকে বলে, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে আমি বাড়ি থেকে নানির বাড়ি যাওয়ার পথে আমাদের গ্রামেরই টিটু মাতুব্বর, হারুন-অর-রশিদ, বাগান মাতুব্বর, সোহেল কাজী, হাবিব কাজী, আবু কালাম, টুটুল মাতুব্বর ও শহিদুল মাতুব্বর আমার মুখ চেপে ধরে হাত-পা চোখ বেঁধে একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে ধর্ষণ করা হয়। আমি এদের প্রত্যেকের শাস্তি চাই।’ ছাত্রী আরো জানায়, চেতনা আসার পর সে দেখতে পায় এক নারী তাকে ঝোপ থেকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রাজিবের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই স্কুলছাত্রীর গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে, স্বাস্থ্য প্রতিবেদন নিয়ে টালবাহানা করছেন ওই চিকিৎসক।
মাদারীপুর জেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার কনা বলেন, ‘গণধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ভূঁইঞা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।