মৌসুমের শুরুতেই আমে বিষ!
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় কেমিক্যাল মিশিয়ে পাচার করার সময় ৬৫ মণ আম জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট করে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার চিৎলা গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম জামাল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
আম জব্দের পর রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে তা বিনষ্ট করা হয়। এ সময় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এস এম জামাল আহমেদ জানান, চিৎলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শফিউর রহমান টমার ছেলে হিরোন আলী সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গাছ থেকে আম নামিয়ে ফেলেন। পরে তা কারবাইটসহ অন্য রাসায়নিক মিশিয়ে পাকানো হয় এবং ট্রাকে করে বগুড়ায় নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বাঁশবাড়িয়া-চিৎলা সড়ক থেকে ট্রাকটি আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে আমের মালিক পালিয়ে যায়। ট্রাকটিতে প্রায় ৬৫ মণ আম ছিল।
ট্রাকচালক সোহাগ জানান, চিৎলা এলাকা থেকে আমগুলো ট্রাকে লোড করে বগুড়া শহরে নেওয়া হচ্ছিল।
গত ৪ মে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় মেহেরপুরের ভৌগোলিক আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গাছ থেকে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয়। এতে গোপালভোগ আম ১৫ মে, হিমসাগর আম ২০ মে, ল্যাংড়া আম ৩০ মে থেকে বাজারজাতকরণের সিদ্ধান্ত হয়। আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের এ নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ ও পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, অপুষ্ট আম নামিয়ে মেডিসিন মিশিয়ে কেউ বাজারজাত করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।