হাফপ্যান্ট পরে ডাকাতি
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার একটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ১৫-২০ জন ডাকাত হাফপ্যান্ট পরে বাড়ির মালিককে জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ডুমুরিয়ার চুকনগর বাসস্ট্যান্ডের আধা কিলোমিটার দক্ষিণে চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক দুবাই প্রবাসী রবিউল ইসলাম। তাঁর স্ত্রী থাকেন বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। নিচতলায় ভাড়া থাকেন ডুমুরিয়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক প্রশান্ত কুমার দাস।
প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার পরপরই সামনের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ডাকাতদল ভেতরে ঢুকে ঘরের দরজায় আঘাত করতে থাকে। তখন আমার ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরজার সিটকিনি ভেঙে হাফপ্যান্ট পরা ১৫-২০ জনের ডাকাতদল ঘরে ঢুকে পড়ে। তারা প্রথমে আমার চোখ বাঁধে। এরপর হাত ও পা বেঁধে ফেলে। তারা প্রথমে তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। পরে ঘরের আলমারি, শো-কেসসহ বিভিন্ন আসবাব তছনছ করতে থাকে। একপর্যায়ে আলমারির ড্রয়ারের তালা ভেঙে ১০ ভরি সোনার গয়না ও ৬০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। সবশেষে আমার স্ত্রীর গলার চেইনসহ তাঁর সমস্ত গয়নাও ছিনিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায় ডাকাতরা।’ সব মিলে প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে দাবি করেন প্রশান্ত।
ডাকাতির খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) সাজ্জাদুর রহমান রাসেল, ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সি এম মশিউর রহমান, পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন ও মাগুরা ঘোনা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় ডাকাতির মামলা হয়েছে।