কিশোরীর অভিভাবক কে?
বরগুনা সদর উপজেলায় ঠিকানাবিহীন এক কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে বরগুনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরীর নাম সুমাইয়া (১০)। তার বাবা বাবুল মিয়া একজন অটোরিকশাচালক। মা হাসিনা বেগম বিদেশ থাকেন বলে জানায় সুমাইয়া। সুমাইয়ার ছোট ভাইয়ের নাম হাসিব ও বোনের নাম ফারজানা।
তার বাড়ি কোথায় সে বলতে পারে না। বরগুনায় কীভাবে এলো এমন প্রশ্নের উত্তরে সে জানায়, দোতলা লঞ্চে করে এসেছে। সে তার নানির কাছে যেতে চায় বলেও জানায়।
সুমাইয়া খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে। সুমাইয়ার সঙ্গে কথা বলে আরো জানা গেছে, তার নানা একজন দিনমজুর। তিনি ইট ভাঙার কাজ করেন। তার এক মামাও অটোরিকশা চালান।
বরগুনা সদর উপজেলার ছোট গৌরীচন্না গ্রামের মৃত আতাহার আলীর স্ত্রী কোহিনূর বেগম জানান, গত ১৫ মে সুমাইয়াকে একাকী দেখে তাঁর দুই ছেলে তার নাম জিজ্ঞেস করলে সুমাইয়া কিছুই বলতে পারে না। এ সময় সুমাইয়ার এলোমেলো কথা শুনে তারা তাকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসে। সেই থেকে সুমাইয়া তাদের বাড়িতেই ছিল। ধীরে ধীরে সে কথা বলা শুরু করে। কিন্তু তার বাড়ির ঠিকানা মনে করতে পারেনি।
পরে কোহিনূর বেগম বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানান। তাঁরা সুমাইয়াকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিলে আজ দুপুরে কোহিনূর বেগম তাকে বরগুনা থানায় হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ জামান বলেন, সুমাইয়ার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে সে খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তার বাড়ি বরিশাল শহরের দপদপিয়া সেতুর আশপাশে হতে পারে।
ওসি আরো জানান, আগামীকাল সুমাইয়াকে আদালতে হাজির করা হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।