নাদিয়াকে বাঁচাতে দরকার ৩ লাখ টাকা
জন্মের আগেই মাকে ফেলে রেখে চলে যান বাবা। জন্মের পর এখন পর্যন্ত বাবার দেখা হয়নি। মা ও নানা-নানিই ছিল সব। কিন্তু তিন বছর আগে মাও অন্যখানে বিয়ে করেন। তাই নানা-নানিই সর্বশেষ ভরসা হয় নুসরাত জাহান নাদিয়ার।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাড়ী সরকারপাড়ায় থাকছেন নাদিয়ার নানা-নানি। পাঁচ বছর বয়সী নাদিয়ার জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা। জ্বর-সর্দি লেগেই আছে। গত মাসে পরীক্ষার পর শিশুটির হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র পাওয়া যায়। তার ইকো কার্ডিওগ্রাফি (ভেন্টিকুলার সেন্ট্রাল ডিজিজ) ধরা পড়েছে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য তিন লাখ টাকা প্রয়োজন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ বর্মণ জানিয়েছেন, হৃৎপিণ্ডের ছিদ্রের কারণে নাদিয়ার দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। না হলে নাদিয়াকে হয়তো বাঁচানো যাবে না।
নাদিয়ার প্রতিদিন ওষুধ খেতে এখন খরচ হচ্ছে ৫০০ টাকা। সেই টাকা সংগ্রহ করতে তার দরিদ্র নানা সর্বশেষ সম্বল ভিটেবাড়ি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন সেই টাকা দিয়েই কোনোমতে চলছে নাদিয়ার চিকিৎসা। তবে অস্ত্রোপচারের টাকা সংগ্রহ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয় তার নানার পক্ষে। তাই তিনি সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানদের কাছে নাতনিকে বাঁচাতে সহায়তা চেয়েছেন।
নাদিয়ার নানা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, জন্মের পর থেকে নাদিয়া কান্না করলে হাত-পায়ের আঙুলের আগা নীল হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে তার শ্বাসকষ্ট হয়। এখন তার অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাই চিকিৎসকের কথামতো অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু তাদের কাছে নিজেদের চলার মতোই টাকা নেই।
মমিনুল বলেন, ভিটেবাড়ি বিক্রির পর তাঁরা এখন সরকারি খাসজমি খুঁজছেন। এমন জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের ভিটা ছাড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন জমির ক্রেতা। তাই ওই ভিটায় থেকেই তাঁরা নাতির চিকিৎসার অর্থ খুঁজছেন।
নাদিয়ার পাশে ‘প্রবর্তন’
এদিকে নাদিয়ার জন্য এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘প্রবর্তন’ নামের একটি সংগঠন ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে। ওই সংগঠনের সদস্যরা এখনো টাকা সংগ্রহের কাজ করছে।
ওই সংগঠনের একজন হলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লায়লা আশরাফিন। তিনি বলেন, ‘আমার দাদু বাড়ির পাশেই থাকে নাদিয়ারা। তার হৃৎপিণ্ডের ছিদ্রের কথা শুনে আমরা বন্ধুরা অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। সবাই সহায়তা করলে নাদিয়া আবার সুস্থ হয়ে উঠবে।’
নাদিয়ার জন্য অর্থসহায়তা পাঠানোর ঠিকানা : মো. আলতাফ হোসেন, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর : ৩৪০৯৪৫৩৮, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ধাপ শাখা, রংপুর। প্রয়োজনে যোগাযোগ ও বিকাশ নম্বর : ০১৭১৮৬৭৩০৫৮ (ব্যক্তিগত)।