পিরোজপুরে সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
পিরোজপুরে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় সোনালী ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার সকাল ১০টায় সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী ও মো. রুহুল আমিন এবং প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ আবদুর রহমান।
গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্বদানকারী দুদকের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর দুদকের করা একটি দুর্নীতি দমন মামলার আসামি ওই তিন কর্মকর্তা। পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসের সহকারী ও মুদ্রাক্ষরিক অঞ্জন কুমার দাসের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে দুদক সোনালী ব্যাংকের এই তিন কর্মকর্তাসহ মোট ছয় ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশের প্রমাণ পায়। অপর তিন কর্মকর্তা হলেন প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ফুয়াদ উদ্দিন এবং সিনিয়র অফিসার সুখেন্দু বিকাশ ও মো. নুরুল ইসলাম।
দুদক কর্মকর্তা জানান, মূল আসামি অঞ্জন কুমার ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রারদের স্বাক্ষর জাল ও প্রতারণা করে শতাধিক চেকের মাধ্যমে ৫৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৬ টাকা সোনালী ব্যাংক পিরোজপুর শাখা থেকে তুলে নেয়। এই ঘটনা ধরা পড়ার পর তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার মো. শফিকুর রহমান অফিস সহকারী অঞ্জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর থানায় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর প্রতারণা ও ২৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় অঞ্জন কুমার দাসকে দুদক গ্রেপ্তার করলে বর্তমানে তিনি আদালতের আদেশে জামিনে আছেন। দীর্ঘ তদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আজ বুধবার দুদকের দল সোনালী ব্যাংকে অভিযান চালিয়ে তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেন।
দুদকের পরিচালক ছাড়াও গ্রেপ্তার অভিযানের অংশগ্রহণকারী অন্যরা হলেন উপপরিচালক মো. মতিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক সিফাত উদ্দিন।