‘গাঁজা সেবনের আগুন না দেওয়া’য় চারজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে
বরগুনা সদর উপজেলায় গাঁজা সেবনের জন্য আগুন না দেওয়ায় চারজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পাঠাকাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই চারজন হলেন পাঠাকাটা গ্রামের হাজেরা বেগম (৭৫), তাঁর সন্তান নিজাম (৩৮), মাকসুদা (২৬) ও রহিমা (৩০)। তাঁদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সহোদর নিজাম ও মাকসুদা জানান, পাঠাকাটা ও আমতলী এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী লেমুয়া গ্রামের ফরিদ ও আমতলী এলাকার মহারাজ। তাঁদের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে এলাকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গতকাল দুপুরে মহারাজ ও ফরিদ পাঠাকাটা এলাকায় তাঁদের (ওই দুজন) বাড়িতে গিয়ে গাঁজা সেবনের জন্য আগুন চান। এ সময় তাঁদের বোন রহিমা আগুন দিতে অস্বীকৃতি জানান। এর পর ফরিদ ও মহারাজ মিলে রহিমাকে মারধর করে পানিতে চুবায়।
আহত দুই সহোদর আরো জানান, ওই ঘটনার খবর পেয়ে ফরিদ ও মহারাজের সহযোগী মোফাচ্ছেল (৩৫), মনির (২২) ও মিরাজ (২৩) তাঁদের বাড়িতে যান। এ সময় সহযোগীরা তাঁদের মা হাজেরা বেগমসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার পর থেকে মারধরের অভিযোগ ওঠা পাঁচজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। মুঠোফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদুজ বলেন, মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।