বান্দরবানে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট
বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দূষিত পানি পান করায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকাবাসী।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, সদরসহ সাত উপজেলায় বন্যা ও পাহাড়ধসে প্রায় সাড়ে চার হাজার টিউবওয়েল এবং তিন হাজার রিংওয়েল ময়লা পানিতে তলিয়ে যায়। এ ছাড়া থানচি, রুমা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় জিএসএফ পাইপলাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনটি উপজেলা জিএসএস প্রকল্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা শহরের পৌর পানি সরবরাহ লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়ায় এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, বন্যা ও পাহাড়ধসে বান্দরবানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলা এবং শহরের পানি সরবরাহ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে পানি সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ সব লাইন এবং টিওবওয়েল ও রিংওয়েলগুলো মেরামতের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সচলের প্রচেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে। পানিবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম কাজ করছে।
গত জুনে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে বন্যা দেখা দেয়। বন্যায় জেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারিভাবে দুর্গতদের সাহায্যে ১০ লাখ টাকা এবং ১৫০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।