কর্ণফুলী ঘাট শ্রমিকদের ধর্মঘট, পণ্য খালাস বন্ধ
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ১৭টি ঘাটের শ্রমিকরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ওই সব ঘাটে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, বন্দর নগরীর মেয়র ও বণিক সমিতির নেতাদের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে বলে জানায় শ্রমিকরা।
সকালে মাঝিরঘাট ও বাংলাবাজার এলাকায় শ্রমিকরা পণ্য খালাস থেকে বিরত থাকায় লাইটারেজ জাহাজ ও পণ্য নিতে আসা ট্রাক অলস বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা ঘাট এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করে।
ঘাট শ্রমিক মো. কবির জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের অনুমোদিত মালামাল উঠানামার ঘাটে কর্মরত শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন করে আসছিল। এ ব্যাপারে গত বছরের ২ ডিসেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য, বণিক সমিতির নেতা ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের মধ্যস্ততায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু তার পরও ঠিকাদার পক্ষের নেতা হাজি শফি ও হাসেম কন্ট্রাকটর শ্রমিকদের থেকে চাঁদা দাবি করে।
আনু মাঝির ঘাটের শ্রমিক মো. মামুন বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক নেতা ইদ্রিস হাওলাদার ও রাজা মিয়া শ্রমিকদের দাবি গত আট মাসে পূরণ করতে পারেননি। তাই আমরা নেতা ছাড়া আন্দোলন শুরু করেছি।’
শ্রমিকরা জানান, দাবি পূরণ না করায় শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন শুরু হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া হলেই কেবল তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন।
এদিকে কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের এ আন্দোলনের কারণে আপাতত লাইটারেজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।