স্কুলছাত্র হত্যায় দুই ভাইয়ের ফাঁসির রায়
পিরোজপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম কিবরিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
সরকারি কৌঁসুলি ও বাদীপক্ষের আইনজীবী খান মো. আলাউদ্দীন জানান, সাজাপ্রাপ্তরা হলেন পিরোজপুর শহরের আদর্শপাড়ার নাফিস হাসান নাহিদ ও তাঁর বড় ভাই নাঈম। হত্যার আলামত নষ্ট করার দায়ে উভয়কে আরো সাত বছরের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে আসামিদের বাবা শফিকুল আলম হাওলাদারকে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট সকালে নিখোঁজ হয় শহরের আদর্শপাড়ার জাকির হোসেন সরদার লিটনের ছেলে সাদমান সাকিব প্রিন্স (১৪)। পরদিন ৩০ আগস্ট প্রিন্সের বাবা পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ১ সেপ্টেম্বর ভোরে স্থানীয় রায়ের পুকুরে প্রিন্সের লাশ ভাসতে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় প্রিন্সের বাবা বাদী হয়ে সন্দেহভাজন আট সহপাঠীকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিরোজপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মুনির শফিকুল আলম হাওলাদার এবং তার দুই ছেলে নাহিদ এবং নাঈমকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ক্রিকেট খেলার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে প্রিন্সকে হত্যার করেন নাহিদ ও নাঈম। বাবার পরামর্শে তারা লাশ গুম করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি নাহিদ উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি নাঈম পলাতক।