বাড়তি হজযাত্রী নিতে পারে সৌদি আরব
চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত হজযাত্রীর বাইরে অতিরিক্ত অপেক্ষমান ব্যক্তিদের হজে পাঠানোর বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনার পর এ বিষয়ে শিগগিরই সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের ‘ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত’ স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুনের সভাপতিত্বে ১২তম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সভায় ১১তম বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় এবং এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে শেষে কমিটির সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘হজের সময় হাজীদের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা সেই বিষয়েই আজকের বৈঠকে করেছি।’ অতিরিক্ত হজযাত্রীদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কমিটির সভাপতি কথা বলে এসেছেন। তারাও তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে আগামী বৈঠকে আলোচনা করবে কমিটি।’
পরে সংসদ সচিবালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হজ পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত হজযাত্রীর বাইরে অপেক্ষমান অতিরিক্ত ব্যক্তিদের পাঠাতে ও হাজিদের সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরবে যান কমিটির সভাপতি। সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সাথে নিয়ে দেশটির মজলিশে শুরার সদস্য ও ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। আলোচনার পর সৌদি কর্তৃপক্ষ অচিরেই বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ ছাড়া ২০১৫ সালের হজের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের প্রাপ্য কোটা অনুয়ায়ী এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জনসহ মোট এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী এবার সৌদি আরবে যেতে পারবেন বলে বৈঠক থেকে জানানো হয়।
আজকের বৈঠকে আসন্ন হজ ২০১৫ উপলক্ষে সৌদি আরবে হাজিদের জন্য বাড়িভাড়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য গঠিত স্থায়ী কমিটির তিন সদস্যের সৌদি আরব যাওয়া ও বাড়িভাড়ার বিষয়টি সফলভাবে শেষ করার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে হজ নিয়ে যাতে কেউ প্রতারণা করতে না পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে হজ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এ সময় কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা, সাধন চন্দ্র মজুমদার, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি, মো. মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ আমীর হোসেন, দিলারা বেগম, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে ধর্মবিষয়কমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানও অংশ নেন।