পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ১৩ কর্মী আহত
চাঁদপুরে ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশের লাঠিপেটায় ছাত্রলীগের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের শপথ চত্বর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন- শাকিল, অন্তর, কাকন, জহিরুল ইসলাম, রনি, টিপু।
প্রত্যক্ষদর্শী, ছাত্রলীগ ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ একটি মোটরসাইকেলে নৌ-টার্মিনাল থেকে শহরে আসছিলেন। কালীবাড়ী মোড়ে পৌঁছলে ট্রাফিক পুলিশ তাঁর মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দেয়। এরপর ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে নিতে পুলিশ অন্তত ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের লঠিপেটায় ছাত্রলীগের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হলে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আবদুস সবুর মণ্ডল ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। ঈদের পর এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শান্ত হন।
এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাফর ইকবাল মুন্না বলেন, ‘শহরে এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তবে পুলিশ দিয়ে যেন এ ঘটনার তদন্ত না করা হয়।’
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে আমার জানা মতে, ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি। অবশ্যই সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’