সংলাপের উদ্যোগ নিতে নাগরিক সমাজের কমিটি
সহিংসতা বন্ধ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিতে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’-এর পক্ষ থেকে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা। তাঁকে এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন এম হাফিজউদ্দিন খান, মোহাম্মদ শাহজাহান, জামিলুর রেজা চৌধুরী, আকবর আলি খান, সি এম শফি সামী, রাশেদা কে চৌধুরী, রোকেয়া আফজাল রহমান, সৈয়দ আবুল মকসুদ, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, শাহদীন মালিক, আহসান এইচ মনসুর ও বদিউল আলম মজুমদার।
কমিটির নাম ঘোষণার পর এ টি এম শামসুল হুদা জানান, সন্ত্রাস বন্ধ ও সংলাপ দুটি প্রক্রিয়াই সমান্তরালভাবে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘যেরকমভাবে আমরা বলছি যে, সন্ত্রাস বন্ধ হতে হবে এবং সাথে সাথেই আপনার উদ্যোগ নিতে হবে যে কী করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। নিরপরাধ লোক নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে এটাতো বন্ধ করতে হবে।’
সাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা একটা কথা বলছি যে, স্থায়ী টেকসই সমাধান। তো সেই কাজে যদি আমাদের কোনো সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমাদের কাছ থেকে কেউ কোনো কিছু সাজেশন চান, আমরা একটা থিংক ট্যাংকের মতো, আমরা সেটা দিতে পারি। আমরা আমাদের স্ব-উদ্যোগে আমরা যাব না। কেউ যদি আমাদের ডাকেন, আমাদের সহযোগিতা চান, আমরা সেইটা দিতে প্রস্তুত আছি।’
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে সংলাপের জন্য দেওয়া চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে সংলাপকেই চলমান সংকটের একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজের সদস্যরা। এ প্রস্তাবে কারো দ্বিমত থাকলে বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরারও আহ্বান জানান সাবেক সিইসি।
এ ছাড়া নাগরিক সমাজের সংলাপ প্রস্তাব সরকার নাকচ করলেও তা নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না নাগরিক সমাজের সদস্যরা। এ ছাড়া চলমান সহিংসতা বন্ধ করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের উদ্যোগ-দুটো প্রক্রিয়া একই সঙ্গে চালাতে হবে বলেও জানান এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি বলেন, ‘এইটা যদি কেউ পছন্দ না করেন, তাহলে তো তাদের একটা বিকল্পও দিতে হবে জাতিকে। এইভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এই পরিস্থিতি চলতে পারে না।’
শামসুল হুদা বলেন, ‘অনেক সিনিয়র মন্ত্রী কথা বলছেন, তাতে করে আমার বুদ্ধিতে আমি বুঝি যে, আমাদের বিষয়টা গুরুত্ব পেয়েছে এবং উনারা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। আমরা এখনও আশাবাদী। হয়ত কোনো একটা আশার উদ্ভব আমরা দেখতে পাব।’
জামায়াতের ব্যাপারে অবস্থান জানতে চাইলে শামসুল হুদা বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল নই। এ বিষয়ে আমাদের নিজস্ব কোনো অবস্থান নেই। তবে খুব দ্রুত কিছু আশা করছি না। কোনো কিছু করতে গেলে আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সংলাপের কোনো অবস্থাই এখন নেই।’
এ সময় দেশের সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘসহ বিদেশিদের সাহায্য চাওয়া ঠিক হবে না জানিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।’