বানভাসিদের মাঝে কেউ আসে না : ত্রাণমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘বানভাসিদের মাঝে কেউ তো আসে না। ঢাকায় বসে ফাঁকা আওয়াজ দেয়।’
আজ সোমবার কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্রের চর শাখাহাতিতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন ত্রাণমন্ত্রী। তিনি এক হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেন।
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গসংগঠনসহ বিরোধী দলও সে মোতাবেক কাজ করছি।’
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনো অর্থ এবং ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজন হয় আমার মন্ত্রণালয়কে বলেন আমি দিব। তারপরেও আসেন। টাকা দেব, চাল দেব, টিন দেব। আপনারা আসেন, মানুষের পাশে দাঁড়ান।’
ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মিটিংয়ে আমরা এনজিওদেরকে (বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা) অনুরোধ করেছি এই বানভাসি মানুষেরা অনেক কষ্টে আছে। এই মুহূর্তে তারা যেন কোনো সুদ বা ঋণের কিস্তি না নেয়। এই অবস্থায় তারা যেন একটি বছর অপেক্ষা করে এই অবস্থা দূর হলে তারা টাকা দেবেন। কোনো রকম চাপ সৃষ্টি না করার জন্য, জোর জবরদস্তি না করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। আমার বিশ্বাস তারা অনুরোধটা রাখবে।’
মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর যাদের হাতে কাজ থাকবে না। ৪০ দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তাদের কাজের ব্যবস্থা করব। যেসব ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, টিন ও নগদ টাকা দিয়ে ঘরবাড়ি মেরামত করে দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তাকে ঘর করে দিতে হবে। কোনো লোক না খেয়ে মারা যাবে না। তাকে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত সাতটি জেলা পরিদর্শন করে যা প্রয়োজন তা করা হবে। এসব মানুষের জন্য যা প্রয়োজন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তারচেয়ে বেশি দিতে বলেছেন।’
এ সময় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান, চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীর বিক্রমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে নদীভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।