ঈশ্বরগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে আটক ৮
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে গতকাল শুক্রবার আটজনকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন গৌরীপুর উপজেলার ত্রিশঘর গ্রামের বাবুল মিয়া ও বোকাইনগর গ্রামের ইসমাঈল হোসেন ফিরোজ, ত্রিশাল উপজেলার ধলাইমান গ্রামের সাজু মিয়া, বালু দিয়া গ্রামের আবু সাঈদ, ধলাইমান গ্রামের নজরুল ইসলাম ও ফাতেমানগর গ্রামের মুনছুর আলী এবং নেত্রকোনার কচুরদুয়ারি গ্রামের চান মিয়া ও আল-আমিন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার আঠারবাড়ী সড়কের মৃগালী কাঠেরপুল স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতরা। ওই সময় আঠারবাড়ী বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে মহেশপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ও আবদুল হামিদ। ডাকাতরা তাঁদের হাত-পা-চোখ বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে মোটরসাইকেল ও টাকা নিয়ে যায়। এরপর একই স্থানে আঠারবাড়ীগামী একটি প্রাইভেট কারে হানা দেয় ডাকাতরা। প্রাইভেট কারের চালক মাসুদ রানাকে কুপিয়ে মালিক আসাদুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে। স্ত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যায় ডাকাতরা। ওই সময় গাড়ির কয়েকটি গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। ডাকাতি শেষে পালানোর সময় এলাকাবাসী তাদের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে। তবে পাঁচ ডাকাত পালিয়ে যায়।
প্রাইভেট কারের মালিক আসাদুজ্জামান ঢাকা থেকে সদ্য কেনা প্রাইভেট কার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন।
আটক ব্যক্তিরা পুলিশকে জানায়, গৌরীপুর, ত্রিশাল ও নেত্রকোনার তিনটি ডাকাতদল একসঙ্গে জড়ো হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী সড়কের মৃগালী কাঠেরপুল স্থানে একটি সেতুর পাশে রাস্তায় গাছ ফেলে একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কারে ডাকাতি করে। এঁদের মধ্যে গৌরীপুরের তিনজনের মধ্যে দুজন, ত্রিশালের ছয়জনের মধ্যে চারজন ও নেত্রকোনার চারজনের মধ্যে দুজনসহ আটজন আটক হয়। পালিয়ে যায় গৌরীপুরের আষ্ট্রঘরের সুমন (২৬), নেত্রকোনার রাজেন্দ্রপুরের সাইফুল (৪৫), রইস মিয়া (৩৮) ও ত্রিশালের সাজু (২৬), জুয়েল (২৩)। এদের মধ্যে সুমন মিয়া গৌরীপুরের, জুয়েল মিয়া ত্রিশালের ও রইস মিয়া নেত্রকোনার ডাকাতদলের নেতৃত্ব দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নওজেশ আলী মিয়া জানান, ডাকাতদলের আট সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একটি রামদা ও দুটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।