৬৪ আঘাতে রাজনের মৃত্যু
সিলেটের সেই শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের (১৩) মাথা ও শরীরে মোট ৬৪ টি আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাথায় পাওয়া আঘাতের ফলে আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ থেকে তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার প্রকাশিত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিলেট থানার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, আজ দুপুরে শিশু রাজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পান তিনি। সেখানে রাজনের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৬৪টি আঘাতের কথা উল্লেখ আছে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাহমিনা ইসলামের সই করা ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে বাহু, কনুই থেকে কবজি, উরু, বুক, পেট, কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোথাও কোথাও বার বার আঘাত করা হয়েছে। আঘাতের ফলে সৃষ্ট ক্ষতের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য সাত ইঞ্চি এবং সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য দুই ইঞ্চি। সর্বোচ্চ ক্ষতের প্রস্থ তিন ইঞ্চি এবং সর্বনিম্ন ক্ষতের প্রস্থ দেড় ইঞ্চি। মৃত্যুর আগে সব ক্ষত তাজা ছিল, এগুলোর রঙ ছিল লাল।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মাথার খুলি, এর ভেতরের ঝিল্লি এবং মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের রজ্জু আঘাতপ্রাপ্ত ছিল। এছাড়া রাজনের বুকের পাঁজরও ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।
গত ৮ জুলাই সকালে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাজনকে। নির্যাতনকারীরা শিশুটিকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ২৮ মিনিটের সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।