মহিষ চুরির প্রধান আসামি যুবলীগ নেতার বিচার দাবি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে মহিষ চুরির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে ওই ইউনিয়নের চরআন্ডা খেয়াঘাট এলাকায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ক্ষুব্ধ লোকজন অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সোনারচর, চরআন্ডাসহ বিভিন্ন চরে গরু-মহিষ চুরির উপদ্রব বেড়েছে। প্রায়ই চুরি হচ্ছে গবাদি পশু। সর্বশেষ সোনার চর থেকে ১৩টি মহিষ চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই মহিষের মালিক চরআন্ডা গ্রামের ইউসুফ ব্যাপারী বাদী হয়ে ইউনিয়নের বাইলাবুনিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বশির খাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকেই আসাসিরা বাদীকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। বর্তমানে বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গরু-মহিষ চুরি চক্রের প্রধান হোতাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং বিচারের ব্যবস্থা করা হোক।
এরপর ক্ষুব্ধ লোকজন গবাদি পশু চুরির প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল আরেফীন বলেন, মানববন্ধন হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। গরু-মহিষ চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯ জুলাই উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সোনার চর বন থেকে ১৩টি মহিষ চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৫ জুলাই মহিষের মালিক চরআন্ডা গ্রামের ইউসুফ ব্যাপারী বাদী হয়ে ইউনিয়নের বাইলাবুনিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি বশির খাঁসহ নয়জনের বিরুদ্ধে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বাইলাবুনিয়া গ্রামের রিংকু হাওলাদার, শামীম খলিফা, সোহাগ খলিফা, বেল্লাল ফকির, ফারুক গাজী, সেলিম পল্লান, রিয়াজ ফকির ও রিপাত খাঁ। যুবলীগ সভাপতি বশির খাঁ আদালত থেকে জামিনে আছেন। চোরাই মহিষ কালাইয়া, আমতলীসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়।