যশোরে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নৈরাজ্য!
ঈদের আগেই বেতনের সমপরিমাণ বোনাস, নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদানের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন যশোরের হোটেল-রেস্টুরেন্ট-মিস্টি বেকারি শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। কিন্তু ঈদের ঠিক পাঁচ দিন বাকি থাকতেই মাইকে ঘোষণা দিয়ে শহরের সব হোটেল বন্ধ করে দিয়েছেন হোটেল মালিকরা।
এ অবস্থায় তিন দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হোটেল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা অভিযোগ করেন, যশোরের হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সঙ্গে তিন বছর ধরে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান ও বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বোনাসের দাবিতে সংলাপ ও চুক্তি হলেও তারা অদ্যবধি তা মানেনি। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই জেলা প্রশাসক ও শ্রম উপপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন যাতে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি গেজেট বাস্তবায়ন ও ঈদবোনাস ২০ রোজার আগে পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। কিন্তু ঈদের আর পাঁচদিন বাকি থাকলেও তারা ঈদ বোনাস তো দেয়নি বরং শ্রমিকনেতা মহাজান খানকে অপহরণ করে মারধর করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি তাইজুল ইসলাম, সহসভাপতি মহারাজ খান, যুগ্ম সম্পাদক কামাল পারভেজ বুলু, আইয়ুব হোসেন প্রমুখ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তাঁরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একই দাবিতে স্মারকলিপি দেন।