অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই লঞ্চ ফিরে গেল ঢাকায়
অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় পাতারহাট-৪ এবং পাতারহাট-৫ নামের দুটি লঞ্চকে মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরি নদীর মিরকাদিম লঞ্চঘাট থেকে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায় পাতারহাট-৫ লঞ্চটি। কিছুক্ষণ চলার পর লঞ্চের নিচে একটি বড় ছিদ্র দেখতে পায় যাত্রীরা। যদিও ছিদ্রটি লঞ্চে পানির লেভেলের (স্তরের) ওপরে ছিল।
এ নিয়ে যাত্রীদের প্রতিবাদের মুখে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম লঞ্চঘাটে ভিড়তে বাধ্য হয় লঞ্চটি। পরে সেখানে এর মেরামত করা হয়। মেরামত শেষে লঞ্চ পরিদর্শনে আসে বিআইডব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তারের কর্মকর্তারা।
লঞ্চের সার্বিক বিষয় পরিদর্শনের পর তারা জানান, পাঁচশ যাত্রী নিয়ে এই লঞ্চটি মেঘনা পাড়ি দেওয়ার উপযুক্ত নয়। যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক কমাতে হবে।
এ বিষয়ে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার মির্জা সাঈদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, এত যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিতে পারবে না লঞ্চটি। তারা যদি যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক করে তাহলে এটি ঘাট ছাড়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
এরপর বিকেলে পাতারহাট-৪ নামের আরেকটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই লঞ্চকে মিরকাদিম লঞ্চঘাটে থামায় বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তরা। পরিদর্শনে এবং যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা আরেকটি লঞ্চকেও ঢাকার পথে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খানের সাথে কথা বলেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী আশ্বাস দেন অতি দ্রুত আরেকটি লঞ্চ পাঠিয়ে ঘরমুখী যাত্রীদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হবে।