চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যা, পরিবারের কাছে রূপার লাশ
চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে স্বজনদের উপস্থিতিতে রূপার লাশ উত্তোলন করা হয়। নিহত রূপার ভাই হাফিজুর রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ গ্রহণ করেন।
এর আগে সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর ও পুনরায় দাফন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ দেন। এরপর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুপুর ২টার দিকে লাশ উত্তোলন করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রূপাকে গণধর্ষণ এবং হত্যা ঘটনায় বাসের চালক ও সহকারীসহ পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিরা হলেন বাসচালক হাবিব, তাঁর সহকারী আকরাম, শামীম, জাহাঙ্গীর ও সুপারভাইজার গেন্দু।
গত ২৫ আগস্ট রাতে বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে ছোয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন রূপা। রাতে মধুপুরে বনের ভেতর সড়ক থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৬ আগস্ট তরুণীর পরিচয় না পেয়ে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ দাফন করা হয় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে। গত ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় লাশের ছবি ও পরনের সালোয়ার কামিজ দেখে শনাক্ত করেন তরুণীর বড় ভাই হাফিজুর রহমান।
রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামে। তিনি ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজে এলএলবি বিষয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। তাঁর ভাই হাফিজুর রহমান চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন। এরপর মধুপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
শেরপুর জেলায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন স্নাতকোত্তর শেষ করা জাকিরা সুলতানা রূপা।