রোডম্যাপ ঘোষণা করে পার্বত্য চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি
বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি ও মহিলা সমিতির সম্মেলন হয়েছে। আজ শুক্রবার বান্দরবানে স্থানীয় রাজার মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলন ঘিরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গুণেন্দু বিকাশ চাকমা। এ সময় অন্যদের মধ্যে জেএসএসের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক জলিমং মারমা, যুববিষয়ক সম্পাদক বিধায়ক চাকমা, বান্দরবান জেলা জেএসএসের সভাপতি উছোমং মারমা, রুমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা, রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াইচিংপ্রু মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা, ছাত্রনেতা সুজয় চাকমাসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
পরে সম্মেলনে ওয়াইচিংপ্রু মারমাকে সভানেত্রী, ভাগ্যলতা তঞ্চঙ্গ্যাকে সাধারণ সম্পাদক ও রেংএংময় বমকে সাংগঠনিক সম্পাদিক করে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির জেলা কমিটি এবং মংস্তু মারমাকে সভাপতি, মংএচিং মারমা জিকোকে সাধারণ সম্পাদক ও সাইংথোয়াই মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটির সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান জেএসএস জেলা কমিটির সভাপতি উছোমং মারমা।
সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গুণেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা রাজনৈতিক। এটি রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। আর এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পন্থা হচ্ছে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা।
গুণেন্দু বিকাশ আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনের প্রায় ১৯ বছর পূর্ণ হলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। অধিকন্তু সরকার চুক্তিবিরোধী নানা পদক্ষেপ নিয়ে নিজেই চুক্তিবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে জেএসএসের চলমান অসহযোগ আন্দোলন দিনদিন আরো তীব্র হতে তীব্রতর হবে। প্রয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল করে দেওয়া হবে। অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করে পার্বত্য শান্তিচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।