আ. লীগের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৭
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বর্ধিত সভা চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউজ এলকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ফারজানা সবুর রুমকির অনুসারী।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন জুয়েল (২২), মোহাম্মদ আলী (৫০), মোঃ গোলাম মোস্তফা (৬০), মোঃ শেলীম (৪৫), রমিম (৩৩), রাজিব (৩০) রুবেল (২৫), জাহাঙ্গীর (৪৫), রফিক (৬০), শাহিন (৩০), মনির (৬০) ও স্বপন (৫০। এর মধ্যে রুবেল, সেলিম ও স্বপনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতক্ষদর্শী ও আহতরা জানায়, বরগুনার সার্কিট হাউজে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা চলাকালে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী বরগুনা দুই আসনের সংসদস সদস্য আলহাজ শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও ফারজানা সবুর রুমকির অনুসারীরা। এ সময় হঠাৎ রুমকির অনুসারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় শওকত হাচানুর রহমান রিমনের অনুসারীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ বিষয়ে বরগুনা দুই আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, ‘রুমকির অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার বেশ কিছু অনুসারী আহত হয়েছেন।‘
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএস মাসুদুজ জামান বলেন, ‘পুলিশের সতর্ক অবস্থানের কারণে সংঘর্ষটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। এ ঘটনার পর পুলিশ আরো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।‘
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।