দ্বিতীয় দিনের মতো বিচ্ছিন্ন বান্দরবান
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে বান্দরবানের প্রধান সড়কে পানি জমে যাওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয়দিনের মতো আজ রোববার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আজো কোনো পরিবহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়নি। কর্মব্যস্ত শহরবাসীকে কোমর পানি ভেঙে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
urgentPhoto
অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের জেলা শহর,লামা,আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী দুটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জানায়,গত বুধবার থেকে বান্দরবানে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার বান্দরবানে ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর গত দুইদিনে বান্দরবানে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান।
অব্যাহত ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের পশ্চিম বরদুয়ারাসহ কয়েকটি স্থানে সড়কে ৪ দশমিক ৫ ফুট পানি জমে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে দ্বিতীয়দিনের মতো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ রফিক জানান, সড়কের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানির পরিমাণ বাড়ছে।
এদিকে সাঙ্গু ও মাতামুহুরীরর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী হতদরিদ্র মানুষেরা নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বান্দরবানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।
জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।