বান্দরবানে স্বাভাবিক হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি, ঘরে ফিরছে দুর্গতরা
বান্দরবানের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আজ বুধবার সকাল থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে দুর্গতরা। এদিকে তিন দিন পর বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে গতকাল মঙ্গলবার যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিতে পাহাড়সহ রাস্তা ধসে যাওয়ায় রুমা ও থানচি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
urgentPhoto
জনপ্রতিনিধিরা জানান, বন্যা ও পাহাড়ধসে এবার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নামলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো অসংখ্য মানুষ অবস্থান করছে। পানি নেমে যাওয়ায় ঘরে ফিরছে দুর্গতরা।
গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে বন্যায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি জনপ্রতিনিধিদের। পাহাড়ধসে জেলায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। শত শত একর ধানের বীজতলা ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ জানান, পাহাড়ি ঢলে রুমা-থানচি উপজেলা সড়কের ৯ মাইলে প্রায় ২০০ ফুট সড়ক ধসে পড়েছে। পর্যটন স্পট নীলগিরি, চিম্বুকসহ এ দুটি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নতুনভাবে সড়ক নির্মাণ ছাড়া যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে না। তবে প্রধান সড়কে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা জানান, বন্যায় বান্দরবান পৌর এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সব রুটই যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ ক্ষতি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও দুর্গতদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।