নকল করায় বহিষ্কার, কলেজে হামলা
নকল করার দায়ে ময়মনসিংহ সরকারি আনন্দমোহন কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করায় পাশের সরকারি মুমিনুন্নেসা মহিলা কলেজে হামলা চালিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ইট নিক্ষেপ করে এবং কলেজের বিভিন্ন কক্ষের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে।
মুমিনুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের এনটিভি অনলাইনকে বলেন, স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের পরীক্ষায় আমাদের কলেজে সরকারি আনন্দমোহন কলেজের শিক্ষার্থীদের আসন পড়েছে। আজ বুধবার পরীক্ষায় নকল করায় দায়ে কক্ষ পরিদর্শক গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ সারোয়ার (রোল নম্বর-০৯১০১৬০১৮৯৩), একই বিভাগের ওয়াসিম খান (রোল নম্বর-০৯১০১৬০১৮৯৪) এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী হিমি জাহানকে (রোল নম্বর-০১৯১০১৬০১৬২৬) বহিষ্কার করেন।
তিন শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোন ও ছাপা কাগজে নকল করতে দেখে কক্ষ পরিদর্শক ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহাবুব উল আলম ও খণ্ডকালীন শিক্ষক (ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ) শিউলি আকতার তাদের বহিষ্কার করেন। পরে তা নোটিশ আকারে বিভিন্ন পরীক্ষা কক্ষে প্রচার করা হয়।
এ ঘটনার পর আনন্দ মোহন কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. গাজী কামাল হাসান কয়েকজন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুন্নেসা মহিলা কলেজে আসেন। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ এন এম শাহজাহান ও উপাধ্যক্ষ আবু তাহেরের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন।
উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের জানান, এ সময় ২০০-এর মতো শিক্ষার্থী এসে লাথি দিয়ে ফটক খুলে প্রশাসনিক কার্যালয়ের দরজায় লাথি চালায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। লিখিত অভিযোগ পুলিশকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু তাহের আরো বলেন, ঘটনার পর কলেজ শিক্ষকদের জরুরি সভা হয়েছে। এরই মধ্যে অধ্যক্ষ এন এম শাহজাহান পুলিশের কাছে দেওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগনামা তৈরি করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ অভিযোগনামা দেওয়া হবে।
সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের বিষয়টি তিনি জানেন, তবে হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে বহিষ্কারের ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তাঁদের কাছে প্রতিকার দাবি করেছেন।