সেতু দেবে বিচ্ছিন্ন বান্দরবান
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সূয়ালক এলাকায় একটি সেতু দেবে গেছে। এতে সারা দেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এতদিন সেতুটির এক পাশ দিয়ে যান চলাচল করছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার এটি অকেজো হয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রধান সড়কে বান্দরবান-চট্টগ্রাম, বান্দরবান-কক্সবাজারসহ সারা দেশের সব রুটের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাস্তার দুই পাশে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
এদিকে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসে সড়ক ভেঙে দেবে যাওয়ায় নয় দিন ধরে যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে রুমা এবং থানচি উপজেলা। যোগাযোগবিছিন্ন থাকায় পর্যটকরাও যেতে পারছে না ট্যুরিস্ট স্পট নীলগিরি, চিম্বুকসহ উপজেলা দুটির দর্শনীয় স্থানগুলোতে।
বান্দরবানের সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আজিজুল মোস্তফা জানান, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের সূয়ালক চেকপোস্ট এলাকায় একটি সেতু দেবে গেছে। তবে দেবে যাওয়া সেতুর ওপরে একটি বেইলি সেতু স্থাপনের কাজ চলছে।
আজিজুল মোস্তফা আরো জানান, বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের রেইছা লম্বাঘোনা সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রধান সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেইলি সেতুটি স্থাপন হয়ে গেলেই পুনরায় সড়ক যোগাযোগ আবার সচল হবে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অব্যাহত ভারি বর্ষণে বান্দরবান জেলা শহরের আর্মিপাড়া, মেম্বারপাড়া, শেরেবাংলা নগর, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। ভারি বর্ষণে অভ্যন্তরীণ সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।
পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা জানান, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার দুদিনের মাথায় আবারও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে বহুগুণ। দুর্গতরা আবারও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ফিরছে। বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। নৌকা দিয়ে দুর্গত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।