শ্যালিকাকে হত্যার পর সাত টুকরো করে ড্রামে!
বরগুনার আমতলী উপজেলায় মামাতো শ্যালিকাকে (১৭) হত্যার পর সাত টুকরো করে ড্রামে রেখে দেন তার দুলাভাই। পুলিশ কিশোরীর দুলাভাই মো. আলমগীর হোসেন পলাশকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে আমতলী পৌরসভার হাসপাতাল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মালা আক্তার (১৭)। সে বরগুনা সদর উপজেলার পশ্চিম গুদিঘাটা গ্রামের আবদুল মান্নান খানের মেয়ে। গ্রেপ্তার হওয়া পলাশের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আয়লা এলাকায়। মালা পলাশের মামাতো শ্যালিকা বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, আমতলীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের আইনজীবী মইনুল হাসান বিপ্লবের বাসায় তাঁর মামাশ্বশুর মো. আলমগীর হোসেন পলাশ ও তাঁর শ্যালিকা মালা বেড়াতে আসেন। বিকেলে আইনজীবী মইনুল ও তাঁর স্ত্রী বাসার বাইরে যান। এ কিছুক্ষণ পর পলাশ তাঁর জামাতা বিপ্লবকে ফোন করে মালাকে হত্যা করার কথা বলে তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন বলেন জানান। এ কথা শুনে আইনজীবী বিপ্লব মালার মৃতদেহ লুকাতে পলাশকে সহায়তা করবেন বলে তাঁকে বাসায় অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর বিপ্লব বাসায় এসে কৌশলে পলাশকে ঘরে তালাবদ্ধ করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে পলাশকে গ্রেপ্তার করে। মালার সাত টুকরো দেহ একটি ড্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ জানান, পলাশকে গ্রেপ্তারের পর ওই আইনজীবীর বাসা থেকে মালার সাত টুকরো করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর পলাশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।