কোমেনের প্রভাবে বান্দরবানে শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার তারাবুনিয়া এলাকায় আজ শুক্রবার গাছচাপায় মোহাম্মদ ছিদ্দিক (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে বান্দরবান জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতে শত শত গাছ উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি এবং সংযোগ লাইন ছিঁড়ে পড়ে দুদিন ধরে জেলায় বিদ্যুৎ নেই।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বান্দরবানের মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ শুক্রবার আরো বেড়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়াও। বৃষ্টিতে বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে আলীকদমে উপজেলা পরিষদ চত্বর, পানবাজার, তারাবুনিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। গাছচাপায় তারাবুনিয়ায় মোহাম্মদ ছিদ্দিক নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন। গাছ পড়ে অনেক ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা জানান, ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে বান্দরবানে প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় মেম্বারপাড়া, রোয়াংছড়ি স্টেশন, হাফেজঘোনা এবং বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের দুই পাশে অসংখ্য গাছ উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। গাছ ভেঙে পড়ে কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবিরাম বর্ষণে বান্দরবানে আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সাহা জানান, বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি এবং সংযোগ লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখা যাচ্ছে না। জনবল ও যানবাহন সংকটের কারণে ত্রুটিপূর্ণ সংযোগগুলো মেরামতে সময় লাগছে। দ্রুত ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ মেরামতের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা হবে।