মংলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, জেলেরা নিরাপদে
মংলায় ঘূর্ণিঝড় কোমেনের তেমন কোনো প্রভাবই পড়েনি। বৃহস্পতিবার কোমেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার পর রাতেই মংলাসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে হালকা বাতাস ও বৃষ্টিপাত বয়ে যায়।
এতে মংলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান।
এদিকে, মংলায় ৫ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করায় এবং ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কাটিয়ে আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মংলাসহ সাগর ও সুন্দরবন উপকূলীয় জনজীবন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকলেও দুপুরের পর থেকে থেমে থেমে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অফিস বিপৎসংকেত প্রত্যাহার করে সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় মংলা বন্দরে পণ্যবোঝাই, খালাস ও পরিবহনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম মোক্তাদির বলেন, বন্দর জেটি ও চ্যানেলে অবস্থানরত জাহাজগুলোতে কাজ শুরুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে জাহাজের হ্যাচ খুলতে না পারায় পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের দুবলারচর, আলোরকোলসহ বিভিন্ন নদী-খালে আশ্রয় নেওয়া জেলে-মাঝিরা এখনো নিরাপদে সেখানে অবস্থান করছেন। তবে বনের ভেতর ও নদীর খালের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন-চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।