শ্বশুরবাড়ি থেকে মেডিকেল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদলে শ্বশুরবাড়ি থেকে মেডিকেল কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শশীদল রেলস্টেশনের পাশে শশীদল পূর্বপাড়ার ওই বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে স্বর্ণাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা।
নিহত উম্মে আয়মন স্বর্ণা কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজে চতুর্থ বর্ষে পড়তেন। তিনি শশীদল পূর্বপাড়া গ্রামের এম এ খালেকের মেয়ে।
স্বর্ণার বোন ও মা জানান, এক বছর আগে শশীদল পূর্বপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম নান্নুর ছেলে জামিল হোসেন ইমনের সঙ্গে উম্মে আয়মন স্বর্ণা প্রেম করে বিয়ে করেন। পরিবারের অমতের কারণে বিয়ের পর থেকে স্বর্ণা তাঁর বাবার বাড়িতে যাননি। এক মাস আগে স্বর্ণা তাঁর মামাতো ভাইকে জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করেন। স্বর্ণা বাবার বাড়িতে ফিরে আসার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় স্বর্ণার স্বামী ইমন তাঁকে জোর করে মেডিকেল কলেজ থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন বলে জানান প্রতিবেশীরা। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইমনের মেজো ভাই স্বর্ণার বাবার বাড়িতে খবর দেন, স্বর্ণা অসুস্থ। স্বর্ণার বোন সেখানে গিয়ে তাঁর মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনার পর স্বর্ণার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ স্বর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে পুলিশ নিহত স্বর্ণার শ্বশুর নুরুল ইসলাম নান্নুকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বর্ণার চাচা অভিযোগ করেন, এক বছর ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তাঁর ভাতিজিকে মারধর ও নির্যাতন করছেন। যৌতুক না আনায় শুক্রবার স্বর্ণাকে বাড়িতে এনে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।