বান্দরবানের সঙ্গে দেশের সড়ক যোগাযোগ চালু
বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের বাজালিয়া এলাকা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। তবে বান্দরবান-রাঙামাটি এবং রুমা-থানচি অভ্যন্তরীণ সড়কে যোগাযোগ ১১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
urgentPhoto
আজ রোববার সকাল থেকে আন্তজেলা বাস যোগাযোগ সচল হয়। একই দিনে প্লাবিত অঞ্চলগুলো থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে ঘরে ফেরাও শুরু করেন বন্যাদুর্গতরা। তবে পাহাড়ধসে জেলা শহরের কালাঘাটা, বালাঘাটা, বনরূপাপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রোববারও অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সাঙ্গু নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যা ও পাহাড়ধসে বান্দরবানে এবার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানি নামলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখনো শত শত পরিবার অবস্থান করছে। বান্দরবানে জেলা প্রশাসন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ জানান, বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ অনেক সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিতে জেলা শহরের অনেক স্থানে ছোট-বড় পাহাড়ধসে প্রায় ২৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত ৭০০ পরিবারের মধ্যে পাঁচ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এক হাজার ৫০০ পরিবারের মধ্যে পাঁচ কেজি করে চাল ও অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গতদের তালিকা তৈরি করে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।