মালা হত্যায় ৫ দিনের রিমান্ডে অ্যাডভোকেট বিপ্লব
বরগুনায় কলেজছাত্রী মালা আক্তার হত্যা মামলায় অ্যাডভোকেট মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহর আবেদন আমলে নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক মো. হুমায়ুন কবির মঙ্গলবার তাঁকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
রিমান্ড শুনানির সময় বিপ্লবের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে বিপ্লবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী শহরে অ্যাডভোকেট বিপ্লবের বাসা থেকে কলেজছাত্রী মালা আক্তারের ড্রামভর্তি সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলায় মালা আক্তারের মামাতো দুলাভাই আলমগীর হোসেন পলাশ, পলাশের ভাগ্নিজামাই অ্যাডভোকেট বিপ্লব তালুকদারসহ অজ্ঞাতনামা আরো দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আলমগীর হোসেন পলাশ এরই মধ্যে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৪ অক্টোবর লাশ উদ্ধারের পরপরই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আলমগীর হোসেন পলাশ ও তাঁর ভাগ্নিজামাই অ্যাডভোকেট মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মালা বরগুনা সদর উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের আবদুল মান্নান হাওলাদারের মেয়ে। সে পটুয়াখালীর কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। তার সঙ্গে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসন্ডা গ্রামের বাসিন্দা ও বরগুনার ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন পলাশের সাত বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। মালা তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সম্পর্কের দিক দিয়ে মালা আক্তার ছিল আলমগীর হোসেন পলাশের স্ত্রীর মামাতো বোন মানে মামাতো শ্যালিকা। এ সম্পর্কের জের ধরে গত ২২ অক্টোবর পলাশ কলেজছাত্রী মালাকে নিয়ে তাঁর ভাগ্নিজামাই আমতলী হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মাঈনুল আহসান বিপ্লব তালুকদারের বাসায় যান। পরে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে অ্যাডভোকেট বিপ্লবের স্ত্রী তাঁর ছেলেকে নিয়ে স্কুলে গেলে পলাশ ধারালো বঁটি দিয়ে মালাকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে মালার মরদেহ সাত খণ্ড করে দুটি ড্রামে ভরে একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখেন।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমতলী থানার ওসি মো. শহিদ উল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ অ্যাডভোকেট বিপ্লবের বাসা থেকে ড্রামভর্তি সাত টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়। আলমগীর হোসেন পলাশ খুনের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, মালা তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় তিনি খুন করেছেন।