ঝালকাঠিতে সহস্রাধিক লোক পানিবন্দি
সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। এতে জেলার শতাধিক পরিবারের সহস্রাধিক লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যায় তলিয়ে গেছে ঝালকাঠি শহরের রাস্তাঘাট, বসতঘর, মাছের ঘের ও ফসলের মাঠ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শহরের কলাবাগান, নতুনচর, কৃষ্ণকাঠি, বাঁশপট্টি, পৌরসভা খেয়াঘাট ও কলেজ খেয়াঘাট এলাকার কয়েকটি পরিবারের শতাধিক লোক।
বিষখালী নদীতীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় ঢুকে পড়া পানিতে তিন দিন ধরে পানিবন্দি রয়েছে রাজাপুর উপজেলার তিনটি, কাঁঠালিয়া উপজেলার তিনটি ও নলছিটি উপজেলার দুটি ইউনিয়নের তিন শতাধিক পরিবার।
এদিকে, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত ও অন্তত ২০টি মাছের ঘের। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলাগাছের বাগান ও পানের বরজ। পানি বৃদ্ধিতে গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় নলছিটি-ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাজাপুরের বড়াইয়া, মঠবাড়ী ও গালুয়া ইউনিয়নের চার শতাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বিষখালীতে বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিবছর পানির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের।
কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল বাশার মুহাম্মদ আমির উদ্দিন বলেন, ‘পানি উঠে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’
রাজাপুরের ইউএনও এ বি এম সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিম্নাঞ্চলের দিকে নজর রাখছি। পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রয়োজনে ত্রাণের ব্যবস্থা করব।’