বন্যার পানি নেমে সাঙ্গুতীরের অর্ধশত বাড়িতে ধস
বান্দরবানে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাঙ্গু নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকার অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙনের কারণে আতঙ্কের মধ্য রয়েছেন স্থানীয় লোকজন। বন্যার্ত লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, নদীর পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল রোববার রাত থেকে ধস শুরু হয়। এতে আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন লোকজন। তবে তাড়াহুড়ার কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে কোনো ধরনের মালামাল বের করতে পারেননি।
আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
এ সময় জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী জানান, নদীর পাড়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করা অবৈধ এবং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অবৈধভাবে ঘর তৈরি করে বসবাস করা আইনত অপরাধও। ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপত্তা দেওয়া প্রশাসনের কাজ। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে আশ্রয় প্রকল্পে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় নদীর পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি দ্রুত নেমে গেছে। বন্যাদুর্গত লোকজন ঘরের কাদা ধুয়েমুছে বসবাস উপযোগী করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রিংওয়েল ও টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। সেই সঙ্গে কৃষিজমির বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে আছেন কৃষকরা। জমি থেকে পানি নেমে গেলেও বীজের অভাবে নতুন করে বীজতলা তৈরিসহ চারা লাগাতে পারছেন না তাঁরা।
অপরদিকে রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ি সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে যাওয়ায় আজ ১৩ দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন হলে বিকল্প হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌপথে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে সড়ক বিভাগ ও সেনাবাহিনী ধসে যাওয়া সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছে।