নৌমন্ত্রীর মিছিলে ককটেল হামলা, আহত ৫
শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মিছিলে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মিছিলে ছিলেন। তিনি অক্ষত আছেন।
আজ সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে নৌমন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের মিছিল বের হয়। পথে গুলশান ২ নম্বরে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।
সাভারের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান জানান, ওই সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা পরপর পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, সোয়া ১২টার দিকে মিছিলটি মেট্রোপলিটন শপিং মলের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পাঁচটি ককটেল ছুড়ে মারে। এতে পাঁচজন আহত হন। এদের মধ্যে রয়েছেন বাবুল আহমেদ, যুবলীগকর্মী সাবু সরকার, মেহেদী ও সাগর সরকার। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত একজন জানান, তাঁরা মিছিলটি নিয়ে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। গুলশান ২ নম্বরের গোল চত্বরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিস্ফোরণের ঘটনার পর পাশের একটি ভবনে ভাঙচুর চালান শ্রমিক-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামলার পরও ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিলটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানে এক ট্রাকে দাঁড়িয়ে পরবর্তী ঘোষণা দেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে ট্রাক মিছিল, ১৯ ফেব্রুয়ারি শাপলা চত্বর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত আরেকটি মিছিলের ঘোষণা দেন তিনি।